অম্বুবাচী
–সুমিত মোদক
ভেঙে পড়ছে প্রাচীন সভ্যতার অলিন্দ,
জেগে থাকা মিথগুলো;
বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে রাইকিশোরী
যমুনা নদী হয়ে ওঠে;
আর ঠিক তখনই শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্র প্রান্তরে
বাজিয়ে দেয় পঞ্চজন্য শঙ্খ;
বেশ কিছু পচাগলা মৃতদেহ
রাজপথে নেমে পড়ে
শ্মশান ভূমি গড়ে তোলার জন্য;
কিন্তু, বহমান এক নদী ভাসিয়ে নিয়ে যায়
অন্ধকার সকল;
বিমূর্ত ছবি থেকে একটি একটি করে রঙ
উঠে আসছে হৃদয়-ক্যানভাসে;
বলে যায় হাজার হাজার মন ভালো রাখার মতো কথা;
তবু, কান্নার শব্দ ভেসে বেড়ায় বাতাসে বাতাসে;
বর্ষার জল বাড়তে বাড়তে ছুঁয়ে যায়
বাঁশের সাঁকো,
ওপারের এক অলৌকিক বাঁশির সুর;
সে সুর কে তোলে!
সে খবর জানে না রাইকিশোরী;
প্রাচীন সভ্যতার শিল্পকলা মিছিলে পথে;
জন্ম দেয় আরেক সভ্যতার অলিন্দ;
যেখানে আমাদের উত্তর পুরুষ আর্য পুরুষ হয়ে ওঠে;
নারী হয়ে ওঠে প্রবাহিত সরস্বতী নদী;
অম্বুবাচীর পূজা শুরু হলে কামাক্ষা জেগে উঠে;
জেগে ওঠে একান্ন পীঠ; সনাতন ভারতবর্ষ;
জন্ম নেয় দিকে দিকে ছিন্নমস্তা;
বর্ষার বৃষ্টিতে খেলা করে রাগ মেঘ মল্লার।
খুব সুন্দর